ফায়ার সার্ভিস ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ বিপণিবিতান এখনই ছেড়ে দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার বিকালে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিস যেগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসাবে চিহ্নিত করেছে সেগুলো যেন ব্যবসায়ীরা ইমিডিয়েটলি পরিত্যাগ করেন। ভবিষ্যতে এরকম দুর্ঘটনা এড়াতে আমি আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) অনুরোধ করব ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশিকাগুলো মেনে চলবেন।

পুনর্বাসনের নামে আরেকবার একই ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সিদ্ধান্ত হবে। এখন সিটি করপোরেশন এখানে ব্যবস্থা নেবে।

ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করার পরও বঙ্গবাজারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে না পারা সম্পর্কে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নতুন করে একটা ১০ তলা ভবনের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিল। টেন্ডারও করেছিল। আমাদের ব্যবসায়ীরা সময় চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট থেকে তারা একটা স্টে অর্ডার নিয়ে এসেছিলেন।

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। যাতে করে জানা যায়, কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল এবং ভবিষ্যতে করণীয় কী সে বিষয়েও কমিটিগুলো আমাদের দিকনির্দেশনা দেবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ব্যবসায়ীরা তৈরি হয়েছিলেন ঈদের বাজার ধরতে। আমরা এটাও জানি, এই ব্যবসার জন্য তারা সারা বছর বসে থাকেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দুঃপ্রকাশ করেছেন। তিনি এটা সব সময় মনিটর করছেন। এ বিষয়ে কী করা যায়, সে বিষয়ে তিনি পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মঙ্গলবার আগুন লাগার পর রাস্তার উলটো দিকের ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলার ঘটনায় ১৪টি গাড়ি নষ্ট হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হামলায় রোবোটিক সিস্টেমে চলে ফায়ার সার্ভিসের এমন একটি দামি গাড়িও নষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই।

দুর্ঘটনার সময় সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‌যদি কোনো সংস্থার গাফিলতি আমরা দেখি তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। দুটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির মূল্যায়নে যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। ফায়ার ব্রিগেডে ভাঙচুরের ঘটনায় তারা মামলা তো একটা করবেই। এটা আমরা দেখছি।
পানির ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত নয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসকে আমরা ঢেলে সাজাচ্ছি। কিন্তু তারা অসহায় হয়ে যায়, যখন পানির আধার থাকে না। ২০ বছর আগে এখানে অনেক পুকুর ছিল। আমরা নিজেদের প্রয়োজনে সব ভরে ইমারত করে ফেলেছি। সব সময় পানি সরবরাহ থাকার জন্য আমি মনে করি সিটি করপোরেশন ও রাজউক ব্যবস্থা নেবে।